নমুনায়ন ত্রুটি (Sampling Error) এবং অনমুনায়ন ত্রুটি (Non-Sampling Error) গবেষণা বা জরিপে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের সময় দেখা দেয়া দুটি গুরুত্বপূর্ণ ত্রুটি। এগুলো জরিপের ফলাফলে প্রভাব ফেলে এবং গবেষণার সঠিকতা হ্রাস করতে পারে। নিচে এই ত্রুটিগুলোর ব্যাখ্যা করা হলো:
নমুনায়ন ত্রুটি হলো সেই ত্রুটি, যা একটি নির্দিষ্ট নমুনা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল এবং পুরো জনসংখ্যার প্রকৃত ফলাফলের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করে।
অনমুনায়ন ত্রুটি হলো সেই ত্রুটি, যা নমুনা বাছাইয়ের বাইরে তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ বা উপস্থাপনার সময় ঘটে।
বৈশিষ্ট্য | নমুনায়ন ত্রুটি | অনমুনায়ন ত্রুটি |
---|---|---|
তথ্যের উৎস | নমুনা বাছাই প্রক্রিয়ার ভুল থেকে সৃষ্টি। | ডেটা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের ভুল থেকে সৃষ্টি। |
কন্ট্রোলের উপায় | বড় নমুনা এবং সঠিক পদ্ধতি ব্যবহার করে। | প্রশিক্ষণ, স্পষ্ট নির্দেশিকা, এবং কার্যকর প্রযুক্তি ব্যবহার করে। |
সংশোধনের সুযোগ | এটি পরিসংখ্যানিকভাবে হ্রাস করা যায়। | এটি ধরা এবং সংশোধন করা কঠিন। |
কারণ | নমুনার আকার ও প্রতিনিধিত্বের অভাব। | প্রশ্নপত্র, ডেটা এন্ট্রি, বা বিশ্লেষণের ত্রুটি। |
নমুনায়ন ত্রুটি এবং অনমুনায়ন ত্রুটি গবেষণার সঠিকতা হ্রাস করে। নমুনা ত্রুটি নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হলেও অনমুনায়ন ত্রুটি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। উভয় ক্ষেত্রেই পরিকল্পিত পদ্ধতি, প্রশিক্ষণ এবং সতর্কতা অনুসরণ করলে ত্রুটির প্রভাব হ্রাস করা সম্ভব।
Read more